ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হজম শক্তি বাড়ায় অ্যালোভেরা জেনে নিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩৯৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ব্যবহার বেশ পুরানো। কিন্তু এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগিয়ে যে অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায় তা জানা নেই অনেকেরই। বর্তমানে যে হারে ক্যান্সারসহ একাধিক মরণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রাচীনকালে লেখা একাধিক আয়ুর্বেদ গ্রন্থেও নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় অ্যালোভেরার ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়া শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

পরিবেশ দূষণের কারণে একদিকে বাড়ছে ফুসফুসের নানা রোগ, অন্যদিকে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন। নানাবিধ নেশার প্রতি আকর্ষণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার কারণে শরীরে এসে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ। আর এসব থেকে বাঁচতে অ্যলোভেরা হতে পারে সহজ সমাধান।

নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায়:

হজম শক্তি বাড়ায়:

শীত মানেই পিকনিক, সেই সঙ্গে এদিক-সেদিকের খাবার খাওয়া তো প্রতিদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই সাথে বেড়েছে গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্নের মতো সমস্যা। আর এর মূল কারণ হলো হজম ক্ষমতার সমস্যা। এ থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা জেলের বিকল্প নেই। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর পাচক রসের ক্ষরণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজমের মতো রোগ ধারে কাছেও আসতে পারে না।

ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই জুস খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়। অ্যালোভেরা জুসকে যদি তুলসি, করলা অথবা আমলকির রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

 

শরীর থেকে সব বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যায়:

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে আসে। উল্লেখ, শরীরে টক্সিকের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগ সহজেই আক্রমন করতে পারে। আর এ থেকে বাঁচতে অ্যালোভেরা জুসের বিকল্প নেই।

অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে:

আমাদের দেশের সিংহভাগ মহিলারাই অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর তা লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে শুরু করে। ফলে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ দ্রুত কমতে শুরু করে।

হরমোনাল সমস্যা দূর করে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেলে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু হয়, যার প্রভাবে প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ ঠিকঠাক হয়। তাই হরমোনাল সমস্যাকে দূরে রাখতে এই জুস খুবই উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

সুস্থভাবে দীর্ঘদিন যদি বাঁচতে চান তাহলে অ্যালোভেরা জুস খেতে ভুলবেন না। কারণ নিয়মিত এই জুস খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হজম শক্তি বাড়ায় অ্যালোভেরা জেনে নিন

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ব্যবহার বেশ পুরানো। কিন্তু এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে কাজে লাগিয়ে যে অনেক শারীরিক উপকার পাওয়া যায় তা জানা নেই অনেকেরই। বর্তমানে যে হারে ক্যান্সারসহ একাধিক মরণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রাচীনকালে লেখা একাধিক আয়ুর্বেদ গ্রন্থেও নানাবিধ রোগের চিকিৎসায় অ্যালোভেরার ব্যবহার লক্ষ্যণীয়। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়া শুরু করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।

পরিবেশ দূষণের কারণে একদিকে বাড়ছে ফুসফুসের নানা রোগ, অন্যদিকে আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবন। নানাবিধ নেশার প্রতি আকর্ষণ এবং অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার কারণে শরীরে এসে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগ। আর এসব থেকে বাঁচতে অ্যলোভেরা হতে পারে সহজ সমাধান।

নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায়:

হজম শক্তি বাড়ায়:

শীত মানেই পিকনিক, সেই সঙ্গে এদিক-সেদিকের খাবার খাওয়া তো প্রতিদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই সাথে বেড়েছে গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্নের মতো সমস্যা। আর এর মূল কারণ হলো হজম ক্ষমতার সমস্যা। এ থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা জেলের বিকল্প নেই। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর পাচক রসের ক্ষরণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজমের মতো রোগ ধারে কাছেও আসতে পারে না।

ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই জুস খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি পূরণ হয়। অ্যালোভেরা জুসকে যদি তুলসি, করলা অথবা আমলকির রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

 

শরীর থেকে সব বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যায়:

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে আসে। উল্লেখ, শরীরে টক্সিকের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে তা প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগ সহজেই আক্রমন করতে পারে। আর এ থেকে বাঁচতে অ্যালোভেরা জুসের বিকল্প নেই।

অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে:

আমাদের দেশের সিংহভাগ মহিলারাই অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন। এমন পরিস্থিতিতে অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এতে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর তা লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়াতে শুরু করে। ফলে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ দ্রুত কমতে শুরু করে।

হরমোনাল সমস্যা দূর করে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খেলে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু হয়, যার প্রভাবে প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ ঠিকঠাক হয়। তাই হরমোনাল সমস্যাকে দূরে রাখতে এই জুস খুবই উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

সুস্থভাবে দীর্ঘদিন যদি বাঁচতে চান তাহলে অ্যালোভেরা জুস খেতে ভুলবেন না। কারণ নিয়মিত এই জুস খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।